রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:১৭

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
বরিশালে মেম্বারের সহযোগীতায় দারিদ্র পরিবারকে ভিটেছাড়া করতে হামলা,নারীর শ্লীলতাহানী

বরিশালে মেম্বারের সহযোগীতায় দারিদ্র পরিবারকে ভিটেছাড়া করতে হামলা,নারীর শ্লীলতাহানী

dynamic-sidebar

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল জেলার উজিরপুর থানা এলাকায় দরিদ্র পরিবারের সম্পত্তি দখলের পায়তারা এবং মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৭ মে দুপুর আড়াইটার দিকে ইচলাদী এলাকায় দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে জমির মালিককে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জমি-জমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটনায় প্রতিপক্ষরা বলে দাবী জমির মালিক আব্দুল লতিফ গংদের।

এ ঘটনায় দরিদ্র আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে ১০ জন নামধারী ও অজ্ঞাত ৪/৫জন সহ ১৫ জনকে আসামী করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন (যার নম্বর ১৭)। তবে ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার হেমায়েত উদ্দিন বাদশা পেছন থেকে কলকাঠী নাড়ছেন বলে অভিযোগ মামলার বাদী লতিফ মীরের। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ও বিবাদীরা একই বাড়ির বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই জমি-জমা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ মে বিবাদী মোঃ বাবুল হাওলাদার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চাপাতি, দা, লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে মোঃ জালাল হাওলাদারকে চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়।

এ সময় মোঃ বারেক ঢালীর ছেলে কাওছার ঢালী এগিয়ে আসলে তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত আমজেদ আলীর ছেলে মোঃ আবুল হোসেন হাওলাদার। এক পর্যায়ে আহতদের ডাক চিৎকারে লতিফ মীর ও বাড়ির অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে মোঃ মিলন হাওলাদার খাজিদা বেগম (৩০) এবং চান বরু বেগম (৭০)কে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারি পেটায় এবং তাদের পড়নের কাপড় টেনে হেচড়ে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ সময় বিবাদীরা খাদিজা বেগমের গলায় থানার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে দরিদ্র লতিফ মীর অন্যান্যদের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

ঘটনার পরের দিন ১৮ মে আব্দুল লতিফ মীর বাদী হয়ে মোঃ আবুল হোসেন হাওলাদারের ছেলে মোঃ মাহাবুব হাওলাদার, মৃত আমজেদ হাওলাদারের ছেলে মোঃ আবুল হোসেন হাওলাদার, মিলন হাওলাদার, তুফান হাওলাদার উভয় পিতা ছালাম হাওলাদার, বাবুল হাওলাদার, আল-আমিন হাং, শাহজাহান হাং, নান্নান হাং, মোঃ জামাল সরদার ও মোঃ রফিক হাওলাদারকে নামধারী ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনসহ মোট ১৫জনকে আসামী করে উজিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী মামলার বাদী লতিফ মীর এ প্রতিবেদককে জানান, স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার হেমায়েত উদ্দিন সরদার ইচ্ছা করলেই বিষয়টি সমাধান করতে পারতেন। তবে তিনি বিবাদীদের পক্ষ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করছেন বলে দাবী করেন লতিফ মীর।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিবাদী পক্ষ টাকা পয়সা দিয়ে মেম্বার হেমায়েতকে হাত করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে মেম্বার হেমায়েতের মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বশির জানান, আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তাই এ বিষয়ে আদালতই ভাল সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net